ধার্মিক
							তখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। তার কতদিন আগে মনে নেই, ঘরে আরবী শেখার জন্য একজন হুজুর ছিল। একদিন হুজুরকে পড়া নিয়ে কী একটা প্রশ্ন করেছিলাম আজ আর ঠিক মনে নেই। তবে মনে আছে হুজুর খুব রাগ করেছিলেন। বলেছিলেন, এইরকম প্রশ্ন আর করবা না। ভবিষ্যতে নাস্তিক হয়ে যাবা।
আমার মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাবা- মাকে বলার পর, বাবা হুজুরকে আসতে নিষেধ করে দিলেন। আমরা ভাইবোনরা সবাই খুব খুশী হয়ে গেলাম। একে তো স্কুলের পড়ার চাপ তার উপর আরবী শেখা, ভাল লাগছিল না। কিন্তু হুজুর চলে যাবার পর আমি মনে মনে ভয় পেয়ে গেলাম। এই ভয়ের কথা ঘরের কাউকে বলিনি। এরপর যা হল, আমার ভেতরে একটা পরিবর্তন এল। ঘটনার কিছুদিন পর, নাস্তিক হয়ে যাবার ভয়ে আমি হঠাৎ করে নামাজ পড়তে শুরু করলাম। ঘরে মা ছাড়া কেউ নামাজ পড়ত না, তাও অনিয়মিত। আমি মসজিদে পড়াই শ্রেয় মনে করলাম। নামাজ পড়ার সময় সেজদা দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই মৃদুমন্দ বায়ু বেরিয়ে আসত পশ্চাৎদ্বার দিয়ে। মনে মনে খুব কষ্ট পেতাম। ভাবতাম, আমার ঈমান শক্ত না বলেই এমন হচ্ছে। আমি আরো বেশি করে মনোযোগী হবার জন্য মনে মনে যাকে বলে জিকির করা, তাই শুরু করলাম। হৃদয় থেকে সারাক্ষণ আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনি উদ্গত হোক, খুব করে চাইতাম এবং আমি এরকম একটি অভ্যেস করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। দোজখের ভয়ভীতি নিয়ে কী, বা কার লেখা পড়েছিলাম তা আর মনে নেই। কিন্তু খুব ভয় পেয়েছিলাম।
অন্য ধর্ম্মাবল্মীদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগত। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম, তারা সবাই দলে দলে দোজখে যাচ্ছে। আমি তাদের মঙ্গল সাধন করার উপায় খুঁজতাম, কিন্তু কোন উপায় আমার জানা ছিল না। আমার খুব খারাপ লাগত অন্য ধর্ম্মাবল্মীদের জন্য। কীভাবে সবাইকে সত্য ধর্ম্ম ইসলামের পথে আনা যায় এ নিয়ে ভাবতাম। কল্পনা করতাম, একদিন সবাই দ্বীনের পথে চলে আসবে। তখন তাদের পরকাল নিয়ে আর কোন ভাবনা থাকবে না। আমি তখন পড়ালেখার পাশাপাশি পরকাল নিয়েই বেশি ভাবতাম। পরকালের প্রশ্নে নিজেকে বেহেস্তে কল্পনা করতে গিয়ে আমি আরো কিছু পথের সন্ধান করতে লাগলাম। তখন মনে পড়ল সহজ পথ হল একজন কামেলকে পাওয়া। যাকে অনুসরণ করে আমি পরকালের পুলসেরাত পার হতে পারি। সারাক্ষণ ভেতরে ভেতরে আল্লাহু আল্লাহু করে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছিলাম যেন আওয়াজ আমার ভেতর থেকে আমার অজান্তেই বেরিয়ে আসে। কিন্তু এতেও আমার মন শান্ত হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল আরো কিছু করা দরকার। আমি ফকির বা পীর অথবা দরবেশ এরকম কাউকে মনে মনে খুঁজতে লাগলাম। কোথায় পড়েছিলাম বা কার কাছে যেন শুনেছিলাম যে একজন কামেলের দেখা পেলে আর কোন ভয় নেই। তার শিষ্য হয়ে জীবন পার করে দিতে পারলে পরকালে নিশ্চিত বেহেস্ত। আমি বেহেস্তে যাবার জন্য তখন মনে মনে অনেককিছুই ভাবতাম। সেখানকার অন্ততকালের সুখ আমাকে প্রায় অন্ধ করে ফেলেছিল। পরকালের নিশ্চিত সুখের জীবন কে না চায়? আমিও খুব করে চাইতাম। কামেলগণ নাকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে থাকেন ছদ্মবেশে, যাতে তাদেরকে কেউ সহজে চিনতে না পারে। মনে আছে তখন নামাজ পড়ার পাশাপাশি আমার ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠল একজন কামেল খুঁজে বের করা।
সকালে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে চলে যেতাম। নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একদিন দেখলাম একজন লোক বিড়বিড় করতে করতে হাঁটছে। আমি তাকে অনুসরণ করতে করতে অনেকটা পথ যাওয়ার পর দেখলাম সে ড্রেনের ভেতর কী যেন খুঁজছে। তার সাথে ছিল একটা চটের ব্যাগ। প্রথম আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেও সাহস করে অনুসরণ করতে লাগলাম। কিন্তু প্রতিবারই দেখলাম ড্রেনের ভেতর কী যেন খুঁজে খুঁজে নিজের চটের ব্যাগে ভরছে।
কেমন সন্দেহ হল, তারপর মনে পড়ল, এটা তো অনেকেই করে। ড্রেনের ভেতর কীসব খুঁজে খুঁজে পায়, সেগুলোই কুড়িয়ে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে। মন খারাপ হয়ে গেল। কেন যে আমার ভাগ্যে একজন কামেলের দেখা মিলছে না, বুঝতে পারছিলাম না। ফলে আমার ভয় বেড়ে গেল।
আমার এই ভয় আর আমার মধ্যে থাকল না, আমি মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে চাইলাম। আমার ছোট বোন একদিন খুব সেজেগুজে বাইরে যাচ্ছিল। আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, তুই এই বেশে বাইরে যেতে পারবি না। আমার বোন নাছোড় বান্দা। সে আমার কথা শুনবে না। তর্কাতর্কি শুনে বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলল, কী হয়েছে?
বোন বলল, আমাকে আমার বান্ধবীর বাসায় যেতে দিচ্ছে না ভাইয়া।
বাবা খুব গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ওকে যেতে দে, তুই ভেতরে আয়। বাবাকে খুব ভয় পেতাম। বুঝতে পারছিলাম না, কোথায় আমার ভুল হল। বাবা ভেতরে নিয়ে কীসব বুঝয়ে ছিল আজ আর মনে নেই। শুধু এতটুকু মনে আছে, অন্যের উপর নিজের বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়াটা ধর্ম্ম নয়। পাপ বাইরে নয়, মনের ভেতর, ইত্যাদি, ইত্যাদি। দমে গিয়েছিলাম মনে আছে। খুব কষ্টও পেয়েছিলাম। চোখের সামনে এমন অনাচার দেখেও কেউ যদি দেখতে না পায় তখন তাকে আর কী করা যায়? বাবার উপর মন খারাপ হয়ে গেল। মনে হয়েছিল বাবার কপালে বেহেস্ত হবে না।
নিয়মিত নামাজ পড়া বেড়ে গেল । নামাজ পড়তে গিয়ে আমিই যে বায়ু নিষ্কাশনের কাজটি করতাম, নিশ্চিত ছিলাম না, কারণ প্রায়ই দুর্গন্ধ পেতাম। নিজের মনকে সান্ত্বনা দিতাম একদিন এই সমস্যা থাকবে না বলে।
নবম শ্রেণীতে উঠেছি তখন সবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্ত্তি হয়ে শ্রেণীকক্ষে একদিন শুনলাম দুইভাগ হাইড্রোজেন আর একভাগ অক্সিজেন মিলে পানি হয়। আমার মাথাটা ঘুরে গেল। রসায়ন বিভাগের স্যারের উপর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি তো এতকাল জেনে এসেছি পানি সৃষ্টি করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। এখানে হাইড্রোজেন, অক্সিজেন আসবে কেন?
ভয়ে আমার বিশ্বাসের মাত্রা গেল বেড়ে। আমি ভাবতে থাকলাম, আরো মনোযোগী হতে হবে ধর্ম্ম-কর্ম্মে। লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি ধর্ম্মীয় বই পড়ায় মন দিলাম। পাঠ্য বইয়ের বাইরেও বই পড়ার অভ্যেস আগে থেকেই ছিল। তখন দস্যু বনহুর, দস্যুরাণী, মাসুদ রানা, শরৎচন্দ্র, ফাল্গুনী, নীহাররঞ্জনসহ অনেকের বই পড়েছি। কিন্তু কোথায় পাব ধর্ম্মীয় বই?
একদিন মসজিদে আমাদেরই বিদ্যালয়ের এক বড় ভাই আমাকে তাদের আসরে ডেকে নিয়ে গেলেন। মসজিদ পবিত্র জায়গা। পবিত্র আলোচনার লোভে আমিও তাদের পাশে গিয়ে বসলাম। বেশ কিছুদিন পর তাদের এক বড় ভাই আসলেন আলোচনা করতে। উনি কথা বলতেন খুব নরম সুরে, আদর আদর একটা ভাব থাকত কথায়। নিজেদের মধ্যে মিলমহব্বত কতটা জরুরী নানান উদাহরণ দিয়ে সেটা বুঝাতেন। তার কথাগুলো আমার খুব ভাল লাগত। মনে হত, আসলেই তো নিজেদের মধ্যে মিল থাকাটা খুব দরকার।
তখন রোজার মাস। একদিন আমাকে নিমন্ত্রণ করা হল ইফতারির জন্য তাদের আরেক বড় ভাইয়ের বাসায়, মসজিদে নয়। এত পদের ইফতারি সেই প্রথম খেয়েছিলাম জীবনে। এরকম আয়োজন এক এক দিন এক এক বাড়ীতে হত। সত্যি বলতে কি আমি ইফতারির লোভে পড়ে গিয়েছিলাম। এত পদ আমি কোথাও দেখিনি।
তাদের একটা পাঠাগার ছিল। আমি সেখান থেকে ধর্ম্মীয় বই পড়তে লাগলাম। একদিন বড় ভাইটি আমাকে এক সভায় নিয়ে গেলেন। বিশাল প্যাণ্ডেল। সবাই বয়সে তরুণ। তাদের পোশাক-আশাক দেখে মনে কেমন একটা সমীহ ভাব এল। এত আধুনিক পোশাক পরেও উনারা দ্বীনের পথে, ভাবতেই আমার মনটা আনন্দে ভরে গেল। কিন্তু এই ভাবনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেল পদ নিয়ে। কিন্তু বড় নেতাদের হস্তক্ষেপে তা সামাল দেয়া হল। আমি এসব দেখছিলাম, আর ভাবছিলাম পরকালের ভাবনাই তো প্রাধান্যে থাকার কথা। ইহকালের পদ নিয়ে কাজিয়া কেন?
এরপর আমাকে বললেও আমি আর বড় ভাইটির সাথে তাদের মিটিংয়ে যাইনি।
কিন্তু মসজিদের আলোচনায় থাকতাম। বেশির ভাগ সময় তিনি নবীজীর যুদ্ধের গৌরব গাথা নিয়ে কথা বলতেন, মুসলমানদের ঐক্যের কথা বলতেন আর বলতেন নামাজের গুরুত্বের কথা। তারপর একদিন সবার উদ্দেশ্যে বললেন কেউ যেন বিচিত্রা না পড়ে। আমি বুঝতে পারছিলাম না তিনি বিচিত্রার উপর এত ক্ষ্যাপা কেন? জিজ্ঞেস করতেই বড় ভাইটি বললেন, ওরা সব সময় মিথ্যা খবর ছাপায়। প্রশ্ন করতেই আবারো উত্তর দিল — দেখো না, একাত্তর নিয়ে কী সব আজগুবি গল্প ছাপাচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করলাম।
ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছি অন্যরকম এক পরিবেশে। বাবা সেই পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবের ঘোর সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতার পর যদিও জাসদে নাম লিখিয়েছিলেন কিন্তু সেখান থেকেও এক সময় বেরিয়ে এসেছিলেন অন্য এক কারণে।
আমি নিজেও ২৫শে মার্চের সকালে স্কুলের বড় ভাইদের সাথে মিলে মিশে ব্যারিকেড দিয়েছিলাম রাস্তায়। তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। সেই ভয়াল রাতের স্মৃতি তখনো মনে দগদগে। বিচিত্রার বিরুদ্ধে কথা শুনে আমার মনে খটকা লাগল। বিচিত্রা তো ভাল কাজই করছে। বড় ভাইটি আবারও বলল, একাত্তর নিয়ে যা বলছে, তা ঠিক নয়। মিথ্যাচার করছে।
আমি বললাম, না, মিথ্যা কিভাবে? একাত্তরে তো রাজাকাররা স্বাধীনতা চায়নি। আপনারা কি রাজাকার? আমার কথা শুনে সে বলে উঠল, তোমার বয়স কম, এসব বুঝবে না। আরো পড়াশোনা কর। তাহলে আসল ইতিহাস জানতে পারবে।
আমি ঠিকই জেনে গেলাম ওদের আসল পরিচয়। আমি আর কখনো ওদের মিটিংয়ে যাইনি।
কিন্তু যে বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে পথ খুঁজছিলাম কোনভাবেই যেন তার সন্ধান পাচ্ছিলাম না।
এরই মধ্যে একদিন সন্ধ্যা বেলায় একটি মেয়ের সাথে হঠাৎ করেই আমার শরীরের সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল, একবেলার জন্য। কিন্তু ঐ একবেলাই কাল হয়ে দেখা দিল। আমি ভাবতে থাকলাম, এই পাপ আমার ভেতরে এল কোথা থেকে? আমি এত নামাজ পড়ি, মনের ভেতর সারাক্ষণ আল্লাহ আল্লাহ করি, অথচ সেই আল্লাহ আমাকে কেন রক্ষা করল না?
পরে ভাবলাম, হয়ত আল্লাহ আমার ঈমান পরীক্ষা করছে। আমি পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হয়েছি। অনুশোচনায় দগ্ধ হতে লাগলাম।
তখন উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে এখানে ওখানে ভর্ত্তি হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাসা থেকে অল্প দূরে একটা মেসে থাকতেন রফিক ভাই। কে যে ওখানে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল মনে নেই। কিন্তু ভাল লেগেছিল লোকটিকে। উনার সাথে আরো একজন থাকতেন। শরৎচন্দ্রের লেখা তার খুব প্রিয় ছিল। মেসে বইপত্র আর রাজনীতি নিয়ে তর্কবিতর্ক হতো। আমার ভালই লাগতো। কী নিয়ে একদিন কথা কাটাকাটি হয়েছিল আজ আর মনে নেই। শুধু এটুকু মনে আছে রফিক ভাই বলেছিলেন, তোর আল্লা আছে পারলে প্রমাণ করে দেখা।
আমি এর কী উত্তর দেব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এতবড় একটা সত্য চোখ বন্ধ করলেই যা দেখতে পাওয়া যায় তা প্রমাণ করার কী আছে?
আমি আবার সেই ইসলামিক পাঠাগারের সাথে যোগাযোগ করে অনেকগুলো হাদিস আর বাংলা কোরাণ নিয়ে এলাম। তারপর যত পড়ি তত সমস্যা হচ্ছিল। এরমধ্যে আমি সমাজবিবর্ত্তনের উপর কিছু বই ফুটপাত থেকে কিনে এনে পড়ে ফেলেছিলাম। ধর্ম্মীয় বইগুলো যত পড়ছিলাম ততই আমার মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে লাগল। আগে এমনটি হয়নি। এখন পড়তে পড়তেই নিজের মনে প্রশ্ন করতাম, এটা কেন, ওটা কেন? অনেকগুলো কেন আর অসঙ্গতি আমাকে বিষণ্ণ করে দিল। ভয়ে আমি আর এগুইনি। ভাবলাম, অনুবাদগুলো ভুল। কিন্তু রফিক ভাইকে এ নিয়ে আর কিছুই বললাম না। আল্লাহ আছে কি নেই, এ নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় মনে করেছিলাম।
আমরা কয়েকজন সেদিন রফিক ভাইয়ের মেসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। গ্রাম থেকে আসা এক আত্মীয়কে নামাজের পানি, জায়নামাজের ব্যবস্থা করে দিলেন রফিক ভাই। এই দৃশ্যটি দেখে আমি ভেবেছিলাম ভাই হয়ত দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে। ভাবতেই আমার খুব আনন্দ হল। কয়েকদিন পর রফিক ভাইকে এ নিয়ে প্রশ্ন করায় উত্তর দিয়েছিলেন, গ্রামের একজন কৃষকের সাথে এ নিয়ে কথা না বলে, বরং তার বিশ্বাসকে সম্মান জানানোটাই আসল ধর্ম্ম। আমার মানা, না-মানার  সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
রফিক ভাই কি মিথ্যা বলেছিল সেদিন?
						
			
			
			
			
			
			
			
			
			
			
			
			
সাম্প্রতিক মন্তব্য