জীবনের জ্যামিতি
যাবে? তবে যাও চলে —
আবির রাঙানো পথ দিয়ে দুরে, বহুদুরে,যেখানে
দুপুরবেলা নেই কোনো অলস মেঘের আনাগোনা
জ্যামিতিক ছাঁচে চলেনা যেখানে কোনো মাপজোক,
ইতিউতি উঁকি দেয় না ত্রিকোণ,বক্ররেখা অথবা
কৌণিক কোনো বিভাজন দেয়নি এখনো
ছিন্নভিন্ন করে, জীবনের মিঠে আয়োজন।
যাবে? তবে যাও চলে —
গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো পথ দিয়ে আরো দূরে
যেখানে আকাশ মিশে গেছে মাটির উঠোনে,আর
সবুজ পাহাড় রাঙা নদীর হয়েছে সহদোর।
ভিনদেশী রাখালের বাশের বাঁশির মিঠে সুর
যেখানে,ভুলিয়ে দেবে ফেলে আসা জীবনের
জ্যামিতিক পরিবেশ, গোছানো ত্রিকোণমিতি।
যাবে? তবে যাও চলে–
জীবনের গণিতের পাতা আর ছেড়া মলাটের খাতা
পেছনে ফেলে; বীজগণিতের বীজ পা দিয়ে মাড়িয়ে
চলে যাও দুর পাহাড়ের সানুদেশে,ফেলে দাও
ছেঁড়া তমসুক, ঐ রাঙা নদীর জলে।
জ্যামিতিক পরিবেশ আর গণিতের সূত্র নিয়ে আজ
আমি একা বসে থাকবো ছেড়া মলাটের সাথে
আর থাকবে আমার শুধু সপ্রেম প্রতীক্ষা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য