জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে কিছুক্ষন
বোতলের ছিপি খুলতেই জিনটা বেরিয়ে এসেছিলো
প্রকান্ড দৈত্যের মতো।
তার হুঙ্কারে অমনি ছেঁয়ে গেলো আকাশ বাতাস,
আর আমি, সাথে আরো হাজার হাজার আমি ভয়ে
কাঁপছিলাম ভেজানো দরজার ওপাশে,
আটকে থাকা সারি সারি ফ্রেমে
কসাইর দোকানে ঝোলানো তাজা মাংস যেন।
হটাৎ বেরিয়ে এলো দেবশিশু, মাটি ফুঁড়ে যেন
মিকেলেঞ্জেলোর উলঙ্গ ডেভিড।
তার ক্ষুদ্র শিশ্নটি সবেগে লম্বা হতে হতে ছুঁলো আকাশ,
দৈত্যটা ভয় পেলো বুঝি প্রথম এবার ;
বন্ধ দরজায় বদলের ডাক এলো, সৃষ্টির উল্লাসে
নামলো বৃষ্টির ধারা মেঘ ফুঁড়ে।
ভয়ে পালালো এবার দৈত্যরাজ রাজপাট ছেড়ে
পাছে ধাওয়া করে নেংটো খোকা।
আমি বেরিয়ে এলাম দরজার খিল ভেঙে,
আর সাথে হাত ধরে আমার, জীবনানন্দ দাশ।
আসমানী মেহফিলে এবার লাগলো রং
ধানসিঁড়ি নদীতে উঠলো ঢেউ
গাংচিল ধানের শীষে গুনগুন করলো আবার
আজ যে এসেছে ফের মাধবী পূর্ণিমা ।
সাম্প্রতিক মন্তব্য