নাফিদা নওরীনের দু’টি কবিতা
১.
“আমি ভোর খুব কম দেখেছি জীবনে,
বরাবরই ঘুমকাতুরে।
কিন্তু যে কয়টা ভোর আমি দেখেছি
সবগুলাই অতিমাত্রায় সুন্দর,
সম্ভবত সব ভোরই সুন্দর,
তাই-ই হবার কথা।
এইজন্যেই আমি নিয়মিত ভোর দেখি না!
সুন্দর বেশি দেখতে নাই।”
এটা বলছিল একজন।
তার সাথে আমার একবারই দেখা হইছিল
অল্প সময়ের জন্য।
আমি ট্রেনের দরজায় দাঁড়ায়ে বাতাস খাইতেছিলাম,
হঠাৎ পিছন থেকে এই বাক্য নিসৃত হইলো,
আমি পিছন ফিরে দেখি তারে,
কৌতুহলের চোখে।
সে একটা হাসি দিয়ে অন্য বগিতে হারায় গেলো।
ঠিক ঐ মুহূর্তে কিছুই মনে না হইলেও পরে
সেই হাসি আমারে অনেক প্যারা দিছে।
দুইটা বাক্য বিনিময় করাই যাইতো।
২.
সুতা ছিঁড়তে না পাইরা যে ঘুড্ডিটা তোমার কপালে গোত্তা খায়া পড়ছিল,
ঐটারেই পরে সবাই টিপ ডাকতে শুরু করলো!
যে কাল বৈশাখীর হুড়কা বাতাসের কুচকুচা কালা রাইত তোমার চোখের কোলে ঝিমায়,
সেটাই নাকি আজকাল কাজল নাম পাইছে!
তোমার কানের লতিতে যে ফুলের দোলনা দুলতো, যার তালে তালে দুলতো অনেকেই,
তার নাম হয়া গেছে কানের দুল!
এত সুন্দর কবিতা। উনার আরো লেখা পাওয়া যাবে?
ধন্যবাদ, সেভাবে কোথাও প্রকাশ করা হয়নি লেখা। ফেসবুকেই টুকটাক লিখি, আপনি যুক্ত হতে পারেন। নাফিদা নওরীন নামেই পাবেন আমায়।
খুব খুব ভাল লাগল। আশা করি এখানেই থেমে যাবেন না। নিয়মিত লেখা দেবেন। সাথে থাকবেন । ধন্যবাদ।