
নিবিড়ের আত্মকথা

এ বসন্তে পুড়ে যায় সূর্যের দীঘল
আলগা বাতাস হু হু ধরে
কোন গান টের পাই
জীবন গেয়ে গেছে এতদিন যা যা
সেসব সুর ঘুরে ঘুরে মরে জীবিত আত্মার মতো
মাথা কোটে পাঁজরের দরজায়
চিন্নমস্তা আমি তার নাম দিই
ভয়ংকরী সে আমায় বধ্য ভাবে
আর আমিও শিয়াল
অথবা ডাকিনীভাবে
অনর্গল রক্ত নিয়ে খেলি
এ বসন্তে অন্ধকার ফিসফিস করে
কাগজফুলের পলাকাটা পাপড়ির ভাঁজে
নেমে আসে দ্বৈত চিবুকের নৌকো
পাল তোলা জোনাকি
আমি একা মরি একার ভেতরে
“মাথা কোটে পাঁজরের দরজায়
চিন্নমস্তা আমি তার নাম দিই” – দারুণ। পুরো কবিতাটাই পড়তে গিয়ে ঘোর লেগে যায়। তোমার সব কবিতায় প্রায় ওরকম একটা ঘোরলাগা ব্যাপার থাকে। চমৎকার।